
মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা এতে তুলনামূলক বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের
রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও কম থাকে। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও সময় মতো চিকিৎসা
শুরু না করলে এই অসুখ মারাত্মক আকার নিতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, এই অসুখ এড়ানোর উপায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। রান্নাঘর
থেকে খাওয়ার জায়গা পরিষ্কার রাখুন। বাসনকোসন ধোয়া মাজার জন্য পরিষ্কার জল
ব্যবহার করুন। মুখ ধোয়ার সময় ব্যবহার করুন পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি। পারলে
সেটাও ফিল্টারের পানি হলে ভালো হয়।

ডায়রিয়া রুখতে তো বটেই, তা ছাড়াও সারা বছরই পরিষ্কার পানি খান। রাস্তাঘাটের
যে কোনো জায়গা থেকে পানি খাবেন না। মিনারেল ওয়াটার বা ফোটানো জল খান। তবে
ডায়রিয়া আক্রান্ত অঞ্চলে বাস করলে আর একটু বেশি সচেতন হতে হবে।

চিকিৎসকদের মতে, ডায়রিয়া আক্রমণ আপনার স্থানীয় এলাকায় হলে নিয়ম করে ট্যাঙ্ক
পরিষ্কার করান। পানি ফুটিয়ে তাতে জিওলিন ফেলে খান। ফিল্টার করা পানিতেও
জিওলিন ফেলে খেতে পারেন।

রাস্তার খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে, ফুচকা, ঘুগনি, মোমো জাতীয়
খাবার একেবারেই খাবেন না। মোট কথা, যে সব খাবারে টকজল বা স্যুপের আকারে
পানি সরাসরি পেটে যায়, তাদের এড়িয়ে চলুন। এমনিতেও পানি ছাড়া রান্না হয় না।
তাই অপরিষ্কার হোটেল বা রেস্তরাঁ থেকে খাবেন না। এড়াতে হবে স্ট্রিট ফুডও।